বুঝে শুনে খাবার খেলে যদি ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়, হৃদযন্ত্র সচল রাখা যায় তাহলে মগজকে কেন শানিত করা যায় না? অবশ্যই যায়। এ ব্যাপারে প্রথম পরামর্শ হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের ক্ষতিকর জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়ার উৎপন্ন ক্ষতিকর যৌগগুলোকে ভেঙে ফেলে। ফলে কোষগুলো থাকে কর্মক্ষম আর তারুণ্যদীপ্ত। তাছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শিরা-ধমনীর স্মৃতিস্থাপকতা বাড়ায়, হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ফলে হৃৎপি- সচল, মগজটাও টনটনে। প্রাণীজ আমিষ খেয়ে শরীরে হিমোসিস্টিন নামক এক ধরনের অ্যামাইনো এসিড উৎপন্ন হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ হিমোসিস্টিন উৎপাদনের প্রক্রিয়াও বেড়ে যায়। এই হিমোসিস্টিন ধমনীর প্রাচীরে জমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তাই মাছ-মাংস পরিমিত খাওয়াই সঙ্গত। তাহলে কী খাবেন? আগেই বলা হয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার। ভিটামিন ই এবং সি হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন। দুধ, কলিজা, সয়াবিন, সবুজ শাকসবজি, ফলমূলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন থাকে। সম্প্রতি পশ্চিমা গবেষকরা নির্দিষ্ট কিছু খাবারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এগুলো হলো পালং শাক, বস্নু-বেরি এবং স্ট্রবেরি। সয়াবিন আর রসুনের প্রতিও তারা আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাদের যুক্তিটা হলো রসুন সয়াবিন রক্তের ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে ধমনীর মধ্য দিয়ে রক্ত চলাচল সুষ্ঠু হয় এবং মস্তিষ্কের কোষগুলোও সচল থাকে। বিজ্ঞানীরা ফলিত এসিডসহ ভিটামিন বি-কমপ্লেক্সের অন্যান্য ভিটামিনের প্রতিও সমান গুরুত্ব দিয়েছেন একই কারণে। বিশেষ করে হিমাসিস্টিন দূর করতে ভিটামিন বি১২ এর জুড়ি নেই।
এই পোস্ট টি আপনার পছন্দ হলে শেয়ার করুন সামাজিক সাইটে
আপনার জন্য আরো জনপ্রিয় পোস্ট:
টিপস এন্ড ট্রিকস
হেলথ্ টিপস
0 comments:
Post a Comment