
ব্লগিং শুরু করার আগে যে বিষয়গুলি ভাববেনঃ
ব্লগিং এর বিষয়ঃ
হুট করে কোন বিশয় বেছে নিবেন না, এতে আপনার ভবিষ্যৎ অন্ধকার। যেমন আপনি আপনি একটি নতুন বিষয় জানলেন, তক্ষুনি সেই বিষয় নিয়ে ব্লগিং শুরু করলেন। এতে কি হবে? কিছুদিন পরে আপনি সেই বিষয়ে আর কোন কথা খুজে পাবেন না দেয়ার পোস্ট করার মত। তাই আপনাকে এমন একটি বিশয় বেছে নিতে হবে, যা আপনি খুব ভাল করে জানেন। মনে করুন আপনি পৃথিবীর বিভিন্ন দর্শনীয় বিশয় সম্পর্কে জানেন, সেক্ষেত্রে আপনি ভ্রমন বিষয়ক ব্লগিং শুরু করাই আপনার সবচেয়ে ভাল হবে। তাই আপনাকে এমন একটি বিষয় বেছে নিতে হবে যাতে আপনি থেমে না যান।
পেইড না ফ্রি?
আপনাকে ভাবতে হবে আপনি কি প্রথমেই ইনভেস্ট করতে রাজি আছেন কিনা। যদি রাজি থাকেন, তাহলে একটি ডোমেইন এবং অল্প পরিমান হোস্টিং নিয়ে শুরু করুন। প্রথমেই প্রচুর ব্যান্ডউইথ এর প্রয়োজন নেই। তবে আপনাকে একটি টপ লেভেল ডোমেইন নিতেই হবে। আর আপনি যদি ইনভেস্ট করতে না চান, তাহলে ব্লগার.কম ই বেস্ট। ব্লগার.কম থেকে আপনি সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন। ব্লগার.কম সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল এর, গুগল চেস্টা করে ব্লগারদেরকে সর্বচ্চ সুবিধা দিতে। আপনি অবাক হবেন যে, সার্চ ইঞ্জিন রাঙ্কিংয়ে একটি ব্লগস্পট ব্লগ একটি টপ লেবেল ডোমেইনওয়ালা ব্লগের সাথে প্রতিদন্ধিতা করতে পারে।
কোন প্লাটফর্ম?
ব্লগিং এ সময় দেয়াঃ
শুধু ব্লগ তৈরি করে বসে থাকলে হবে না। আপনাকে নিয়মিত পোস্ট করতে হবে। তাই আপনাকে ভাবতে হবে যে, আপনি ব্লগে সময় দিতে পারবেন কিনা। আপনার যদি অনেক কাজ থাকে, আপনি যদি ব্লগিং এ সময় দিতে অপরাগ, তাহলে আমি আপনাকে বলব আপনাকে দিয়ে ব্লগিং হবে না। আমার এক বিদেশি ফ্রেন্দ আমাকে বলেছিল যে, "ব্লগিং হল অলস মস্তিস্কের কাজ"। যদিও কথাটা এতোটা সত্যি নয়, তারপরেও মোটা-মুটি সত্যি। আপনাকে ব্লগের পিছনে খাটতে হবে তাহলে আপনি সাফল্যের মুখ দেখতে পাবেন। আপনাকে নিয়মিত পোস্ট করার মনমানুষিকতা নিয়ে ব্লগিং শুরু করতে হবে।
ব্লগ থেকে আয় নিয়ে মাথা ব্যথাঃ
যাই হোক আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আগামীতে নিশ্চয়ই নতুন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারব ইনশাহআল্লাহ।