বিনামূল্যে আপডেটের জন্য সাবস্ক্রাইব করুন!

আমরা'স্প্যাম এর বিরুদ্দে অঙ্গীকারবদ্দ !

Wednesday, September 10, 2014

কিভাবে গুগল এডসেন্স থেকে ভাল উপার্জন করতে পারবেন

বার দেখা হয়েছে

আমার জানামতে (অনুমান) আজকের অনলাইন জগতে শতকরা ১৫ ভাগ ইয়াং জেনারেশন অনলাইনে কম-বেশী উপার্জন করে থাকেন তার যোগ্যতা অনুযায়ী, ২৫ ভাগ সরকারী চাকরিতে নিয়োজিত আছেন স্থায়ীভাবে, ৩৫ ভাগ বেসরকারি ফার্মে চাকরি করে দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করতেছে, ৫.৫ ভাগ ব্যবসার কাজে নিয়োজিত এবং ১৯.৫ ভাগ ইয়াং জেনারেশন বেঁকার অবস্থায় পড়ে আছেন। আমার আজকের আলোচনা হচ্ছে ১৫ ভাগ অনলাইন কর্মী এবং ১৯.৫ ভাগ বেঁকার যুবকদেরকে নিয়ে – কিভাবে ঘরে বসে অনলাইনে বাড়তি ইনকাম করা যায়। যারা বেঁকার আছেন তাঁদেরকে বলবো অনলাইন মার্কেটপ্লেসে এখনো অনেক কাজ আছে যা যে কেউ করতে পারে তার দক্ষতা এবং যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে। আপনি যদি শুধু একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যয় আপনার মূল্যবান সময়টাকে নষ্ট করে যাচ্ছেন আপনার অজ্ঞাতে। তাহলে আজকেই আপনার পছন্দের একটা মার্কেটপ্লেসে যোগ দিন এবং কাজের জন্য বিড করুন, আশারাখি আপনি হতাশ হবেননা সহজে। এছাড়া ও আপনি কাজের পাশাপাশি আপনার দক্ষতাকে তুলে ধরতে পারেন ব্লগিং-এর মাধ্যমে। আমার প্রথমদিকে অনলাইনে ব্লগিং এবং ফ্রিল্যান্সিং আমার পেশা ছিল, কিন্তু এই পেশা এখন নেশাতে পরিণত হয়েছে এবং তা চূড়ান্ত আকারে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে অনলাইনে ব্লগিং। আমি এখানে গুগল এডসেন্স থেকে কিভাবে ভাল উপার্জন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করবো আমার স্বল্প অভিজ্ঞতা থেকে, আপনি কি জানেন গুগল এডসেন্স হচ্ছেসর্বোচ্চ অর্থপ্রদানকারী CPC Ad নেটওয়ার্ক (highest paying cpc ad networks)?। আপনি কি চান গুগল এডসেন্স থেকে ভাল উপার্জন করতে? আপনার ব্লগে গুগল এডসেন্স আছে কিন্তু আপনি তেমন উপার্জন করতে পারতেছেননা, তাহলে সময় নষ্ট না করে একটু পরিশ্রম করুন, আমি ১০০ ভাগ আশা রাখি আপনি ও পারবেন। কিভাবে আপনার সময়টা ব্লগে ব্যয় করবেন, নিচে পড়ুন – আমি এখানে ধাপে ধাপে আলোচনা করেছিঃ

থিম এবং ডিজাইন

আপনি নিশ্চয় চান আপনার ব্লগের থিম সুন্দর এবং রেস্পন্সিব হোক? হ্যা, আপনার ব্লগের ডিজাইন যদি রেস্পন্সিব হয়ে থাকে আপনার গুগল এডস গুলো আর ও সুন্দরভাবে প্রদর্শিত হবে আপনার ব্লগে। আপনার ব্লগের থিম রেস্পন্সিব হলে ইউজাররা আপনার ব্লগে অনেক সময় ধরে ভিসিট করবে, এতে আপনার ব্লগের ইম্প্রেশন এবং ভিসিট ডিউরেশন বেড়ে যাব, তাতে আপনার ব্লগ সহজে গুগলে র‍্যাঙ্ক পাবে। আপনি নিশ্চয় জানেন - যে আর্টিকেলের ইউজার ভিসিট ডিউরেশন বেশী সেই আর্টিকেল গুগল প্রাধান্য দেয় বেশী, কারন গুগল ইউজার বা ভিসিটরের পছন্দকে বেশী প্রাধান্য দেয়। আপনার ব্লগের ডিজাইন এবং আর্টিকেল ভাল হলে ইউজাররা আপনার ব্লগ শেয়ার করবে তাদের বন্ধুর কাছে বা সোশ্যাল মিডিয়া সাইটের মাধ্যমে। এতে সহজে আপনি গুগলে র‍্যাঙ্ক পাবেন । এক্ষেত্রে আপনি আপনার ব্লগের জন্য রেস্পন্সিব থিমের মধ্যে জেনেসিস থিম, থিমফরেস্ট বা মাইথিমশপ থেকে থিম কিনে ব্যবহার করতে পারেন।

আর্টিকেল কোয়ালিটি এবং ভেলু

আপনি নিশ্চয় জানেন কনটেন্ট ইজ কিং! হ্যা, শুধু তাই নয় – আপনার আর্টিকেল কোয়ালিটি ভাল এবং তথ্যপূর্ণ হলে গুগল সহজে আপনার আর্টিকেল প্রথম পেইজে তুলে ধরবে, এক্ষেত্রে আপনার ব্লগের ভিসিটর ও বাড়বে এবং আপনার ব্লগের উপার্জন ও বাড়বে। শুধু তাই নয় - আপনার আর্টিকেল কোয়ালিটিফুল হলে ভাল এডস সো করবে আপনার ব্লগে। আপনার সুক্ষ জ্ঞান থেকে সর্বোচ্চ গুগল এডসেন্স CPC কিওয়ারড বাছাই করে কিছু তথ্যপূর্ণ আর্টিকেল লিখুন এবং শেয়ার করুন আপনার  অন্তরভুক্ত সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোতে। আজকের অনলাইন বিশ্বে অনেক ব্লগার ভাল আর্টিকেল লিখে থাকেন, এক্ষেত্রে আপনাকে চিন্তা করতে হবে আপনার আর্টিকেল যেন এস.ই.ও ইফেক্টিভ হয়। আপনার আর্টিকেল কিরকম হবে তা নিচে দেখুনঃ
১) প্রথমত আপনি যদি কোন প্রোডাক্টস বা কোন বিষয়কে নিয়ে লিখেন তাহলে কখনোই প্রচারমূলক (promotional) আর্টিকেল লিখতে পারবেননা।
২) দ্বিতীয়ত আপনার আর্টিকেল সর্বনিম্ন ৫০০ ওয়ার্ড হতে হবে, এবং ৫০০ ওয়ার্ড-এর বেশী লিখার চেষ্টা করুন। এবং মনে রাখতে হবে আপনি যে বিষয় বা প্রোডাক্ট সম্পর্কে লিখবেন তার ডেনসিটি (keyword density) যেন বেশী হয়ে না যায়, আপনার আর্টিকেলে কিওয়ারড ডেনসিটির পরিমাণ কতটুকু হবে তা আপনি ভালভাবে এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন, এছাড়া ও আপনিউইকিপিডিয়া থেকে জেনে নিতে পারবেন।
৩) তৃতীয়ত আপনার প্রত্যাশিত কিওয়ারডটি আপনার আর্টিকেল বডিতে H2তে ব্যবহার করুন, এবং কিওয়ারডটির সাথে অন্য কিছু শব্দ জড়ুন, তবে যেন প্রচারমূলক নাহয়।
৪) চতুর্থ - আপনার আর্টিকেল যেমন কোয়ালিটিফুল হবে তেমনি আপনার আর্টিকেলের ইমেজ/ছবি (প্রয়োজন স্বাপেক্ষে যতগুলো ব্যবহার করা যায়) ও যেন তথ্যপূর্ণ হয়, এবং ALT Tag ব্যবহার করুন (আপনার কিওয়ারড) আপনার ইমেজে।
৫) পঞ্চম– আপনার আর্টিকেলের সেন্টেন্স যেন সংক্ষিপ্ত হয়, অর্থাৎ আপনার আর্টিকেলের  রিডাররা যেন  আপনার আর্টিকেলটি পড়তে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এবং পড়তে যেন কঠিন হয়ে না যায় (প্রয়োজনে আপনি বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করুন আর্টিকেল বডিতে)। এক্ষেত্রে আপনি উকিপিডিয়া থেকে Flesch Reading Ease সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।
৬) ষষ্ট – আর্টিকেলের শুরুতে সর্বনিম্ন ৪০ ওয়ার্ডস (প্যারাগ্যারাপ) লিখুন এবং আপনার প্রত্যাশিত কিওয়ারডটি ব্যবহার করুন প্রথমদিকে।
৭) সপ্তম – ১৫৬ ওয়ার্ডস ইউনিক মেটা ডিসক্রিপশন লিখুন আপনার মেটা ডিসক্রিপশন বক্সে এবং মেটা ট্যাগ কিওয়ারডস লিখুন। এক্ষেত্রে আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে Yoast অথবা All in one SEO প্লাগিন ব্যবহার করতে পারেন।

ভৌগলিক ফোকাস

গুগল এডসেন্স থেকে ভাল অর্থ উপার্জনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে আপনার ব্লগের ভৌগলিক অবস্থান এবং কিওয়ারড, আপনার হয়তো জানা আছে USA, UK, AU দেশের এডস ক্লিকের রেট বেশী অন্যান্য দেশের চাইতে। এছাড়া ও আপনার ব্লগে যদি USA, UK, AU-এর ভাল ভিসিটর থাকে তাহলে আপনি শুধু পেইজ ইম্প্রেশন থেকে ভাল উপার্জন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে ভাল ভিসিটর পেতে হলে ইন্টারন্যাশনাল Geo টারগেটিং পরিবর্তন করে নিতে হবে গুগল ওয়েবমাস্টার টুলস থেকে। এজন্য আপনাকে প্রথমে গুগল ওয়েবমাস্টার টুলস এ লগিন করতে হবে –> আপনার ওয়েবসাইটের নামের উপর ক্লিক করেন -> তারপর বাম কর্নার থেকে সার্চ ট্রাফিক ক্লিক করেন -> পুনরায় ইন্টারন্যাশনাল টারগেটিং ক্লিক করেন -> সর্বশেষ কান্ট্রি ক্লিক করে আপনার পছন্দের কান্ট্রি সিলেক্ট করুন এবং সেভ করুন।

ব্যাকলিঙ্কস বিল্ডিং

গুগল এডসেন্স থেকে ভাল অর্থ উপার্জনের আর ও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ব্যাকলিঙ্কস বিল্ডিং, তবে ব্যাকলিঙ্কস বিল্ডিং করার আগে আপনাকে মনে রাখতে হবে  – আপনার ব্যাকলিঙ্কস যেন Geo টারগেটেদ হয়। আপনি যদি লোকেশন বেস ব্যাকলিঙ্কস করেন তাহলে সেই লোকেশনে (country/ip) অনুযায়ী আপনার ওয়েবসাইটটি গুগল সার্চ ইঙ্গিনে সো (show) করবে। এবং এই ধরনের ব্যাকলিঙ্কস বিল্ডিং করার ফলে আপনি সহজে কান্ট্রি স্পেসিফিক ওয়েবসাইট ট্রাফিক পাবেন। সিপিসি রেট বেশী থাকার ফলে আপনি সহজে ভাল উপার্জন করতে পারবেন আপনার ব্লগ থেকে।

ইমেজ এডস ব্যবহার করুন

আপনি হয়তো জানেননা টেক্সট এডস এর চেয়ে ইমেজ এডস-এ পে বেশী করে। এছাড়া ও ইমেজ এডস-এ ক্লিক এর সংখ্যা বেশী, এর কারণ হচ্ছে ইমেজ এডস দেখতে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় হয়, এতে ভিসিটররা সহজে ইমপ্রেস হয় যদি কোন প্রোডাক্টস সো করে সেই ইমেজ এডস-এ।
আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন আপনার মাসিক আয় হবে দশ হাজার ডলারের ও বেশী? চেষ্টা করতেতো কোন সমস্যা নেই? আপনার ব্লগে ট্রাফিক আনার জন্য আপনাকে কোন বিনিয়োগ করতে হচ্ছেনা, আপনার মেধা আছে কিন্তু আপনি সঠিক পথ খুজে পাচ্ছেননা, তাহলে আপনার কি করা উচিত?
How-to-make-more-money-with-google-adsense

আপনি কি আর ও কিছু জানতে চান? গোপন কোন কিছু? আপনি কি জানেন নিজে থেকে কখনো উপরে উঠা যায়না! আপনাকে অবশ্যই কারো মাধ্যম হয়ে উঠতে হবে – সেটা হয়তো হবে নতুন শিক্ষা, সম্ভাবনাময় উপরে উঠার সিঁড়ি। আমি নতুন এবং পুরাতন ব্লগারদের জন্য (যারা ব্লগিং এর মাধ্যমে ভাল উপার্জন করতে চান) একসপ্তাহ ব্যপিক কাজ করে একটি ইনফোগ্রাফিক্স তৈরি করেছি,  ইনফোগ্রাফিক্স-এর বিষয়বস্তু হচ্ছে কিভাবে গুগল এডসেন্স থেকে ভাল উপার্জন করা যায় তার একটা সহজ পদ্দতি।

এই পোস্ট টি আপনার পছন্দ হলে শেয়ার করুন সামাজিক সাইটে
টেকটিউনসইউ →
ফলো করুন →
শেয়ার করুন →